২৬ এপ্রিল ২০২৫
Online Education

রাজ্যের আনাচেকানাচে যে ভাবে বোমা-বন্দুকের খোঁজ মিলছে, তাকে বিলক্ষণ পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগমনী বলা যেতে পারে

পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে স্থিতিজাড্যের মাত্রাও সর্বভারতীয় স্তরের তুলনায় কিঞ্চিৎ বেশি— রাজ্যের বিধানসভা যে দলের দখলে, একেবারে তৃণমূল স্তরের রাজনীতিতেও তার প্রভাব বিপুল।

F Article Lead Image

ভোট মানেই পশ্চিমবঙ্গে বিপুল অস্ত্রের ঝনঝনানি, বিপুলতর হিংস্রতা বহুমাত্রিক

প্রিয়ঙ্কর ব্যানার্জী
প্রিয়ঙ্কর ব্যানার্জী
শেষ আপডেট: ২২ নভেম্বর ২০২২ ১৫:৩৩
Share: Save:

রাজ্যের আনাচেকানাচে যে ভাবে বোমা-বন্দুকের খোঁজ মিলছে, তাকে বিলক্ষণ পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগমনী বলা যেতে পারে। ভোট মানেই পশ্চিমবঙ্গে বিপুল অস্ত্রের ঝনঝনানি, বিপুলতর হিংস্রতা। কেন এই রাজ্যের রাজনীতি এমন হিংসাত্মক হয়ে উঠল, সেই প্রশ্নের উত্তর বহুমাত্রিক। প্রথমত, বিভিন্ন ঐতিহাসিক কারণে পশ্চিমবঙ্গের সমাজের প্রধানতম বিভাজিকাটির নাম রাজনীতি। জাতপাত, ধর্ম, সবই এই রাজ্যের সামাজিক সমীকরণে উপস্থিত, কিন্তু সেই পরিচিতিকেও ছাপিয়ে যায় রাজনৈতিক পরিচয়। ফলে, এই রাজ্যে হিংসাত্মক ঘটনাগুলি প্রায় কখনও রাজনীতি-বিবর্জিত নয়। সংবাদপত্রের পাতায় প্রায়ই এর উদাহরণ পাওয়া যায়, যেখানে নিতান্ত পারিবারিক কোন্দলের ঘটনাতেও ক্ষমতাসীন ও বিরোধী, উভয় রাজনৈতিক গোষ্ঠী পরস্পরের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলে। অতএব, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পশ্চিমবঙ্গে হিংসার ঘটনা চরমে উঠবে, তা এক অর্থে অনিবার্য।

  • পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে স্থিতিজাড্যের মাত্রাও সর্বভারতীয় স্তরের তুলনায় কিঞ্চিৎ বেশি— রাজ্যের বিধানসভা যে দলের দখলে, একেবারে তৃণমূল স্তরের রাজনীতিতেও তার প্রভাব বিপুল।
  • ফলে, রাজনৈতিক হিংসার ক্ষেত্রেও শাসক দলের ভূমিকাই বেশি। কিন্তু, যে অঞ্চলগুলিতে বিরোধী রাজনীতি তুলনায় শক্তিশালী, সে সব অঞ্চলে হিংসার সমীকরণটিও উল্টো।
  • এর থেকে বোঝা সম্ভব যে, এই রাজ্যে রাজনৈতিক হিংসা কোনও একটি বিশেষ দলের অস্ত্র নয়, তা সর্বজনীন আয়ুধ। ইতিহাসও সেই সাক্ষ্যই দেবে। পূর্ববর্তী বাম জমানায় হিংস্রতার ঘটনাগুলিতে চালকের আসনে বাম দলগুলির ‘সম্পদ’দের ভূমিকা রাজ্য বিস্মৃত হয়নি।
  • এখন তৃণমূল কংগ্রেসের ‘তাজা ছেলে’রা সেই হিংসার প্রধান কান্ডারি। দুর্ভাগ্য, শাসকের রং পাল্টালেও রাজনীতির চরিত্র পাল্টায় না।

দ্বিতীয় স্তরের কারণটি চরিত্রে রাজনৈতিক নয়, অর্থনৈতিক। শিল্পবঞ্চিত এই রাজ্যে কর্মসংস্থানের বৃহত্তম ক্ষেত্রটির নাম রাজনীতি। শাসক দলের সঙ্গে থাকলে যে তেমন রোজগারের বিবিধ পথ খুলে যায়— কখনও উন্নয়ন খাতে আসা অর্থ নয়ছয় করে, কখনও সাধারণ মানুষের ন্যায্য প্রাপ্যের টাকার থেকে বখরা আদায় করে, কখনও গরু-কয়লা-বালি-পাথর চোরাচালানের মাধ্যমে, কখনও আবার সিন্ডিকেটের পথে— এই কথাটি পশ্চিমবঙ্গে সর্বজনবিদিত। কিন্তু, এই অধিকার বজায় রাখার পূর্বশর্ত হল রাজনৈতিক ক্ষমতা বজায় রাখা। শুধু পুরসভা দখল করাই যথেষ্ট নয়, তার প্রতিটি ওয়ার্ড দখল করা প্রয়োজন। বেশির ভাগ পঞ্চায়েতে জিতলেই চলে না, সব পঞ্চায়েতে জয়ী হওয়া জরুরি। নয়তো, যে আসন হাতছাড়া হল, রোজগারের সেই ক্ষেত্রটিও একই সঙ্গে হাতছাড়া হয়। এবং, রোজগার বজায় রাখার তাগিদটি এতই গুরুতর যে, মানুষের সমর্থনের ভরসায় তাকে ছেড়ে রাখা যায় না। জেতার সহজতম পথ গায়ের জোর— অতএব, নির্বাচন এলেই পশ্চিমবঙ্গ রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে।

সমস্যার তৃতীয় স্তর হল দুর্নীতির বিকেন্দ্রীকরণ। অভিজ্ঞতা বলবে, পশ্চিমবঙ্গের সমগ্র ভূগোল এখন অজস্র ছোট ছোট অঞ্চলে বিভক্ত, যার অধিপতি শাসক দলের কোনও এক নেতা। তাঁর প্রভাব সেই অঞ্চলটুকুতে সীমাবদ্ধ, রোজগারের সুযোগও। ফলে, দলের শীর্ষনেতৃত্ব যদি হিংসার মাত্রা কমাতেও চায়, তাতে এই গোষ্ঠীপতিদের কোনও লাভ নেই, অতএব আগ্রহও নেই। তাঁদের স্বার্থ নিজেদের এলাকার উপর প্রশ্নাতীত দখল বজায় রাখার মধ্যে সীমিত। বিরোধী রাজনৈতিক দলই হোক, বা নিজের দলের ভিন্ন কোনও গোষ্ঠী, দখলের প্রশ্নে সবাই সমান শত্রু। ফলে, রাজনৈতিক হিংসা শুধুমাত্র বিরোধী দলের প্রতি নয়, দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বও সমান বিপজ্জনক। অর্থনীতির এই সমীকরণের সমাধান না করতে পারলে পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক হিংসা থামানো কার্যত অসম্ভব।

সাদ্দামের মতো দাড়ি কার, তরজা বিজেপি কংগ্রেসের।

সাদ্দামের মতো দাড়ি কার, তরজা বিজেপি কংগ্রেসের। গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।

সমস্যার তৃতীয় স্তর হল দুর্নীতির বিকেন্দ্রীকরণ।

গত ৭ সেপ্টেম্বর থেকে ভারত জোড়ো যাত্রা শুরু করেছেন রাহুল। দীর্ঘ এই পদযাত্রা-পর্বে তাঁর চেহারা অনেকটাই বদলে গিয়েছে। গালে গজিয়েছে লম্বা দাড়ি। গুজরাতে বিজেপির ভোট প্রচারে গিয়ে মঙ্গলবার হিমন্ত সেই প্রসঙ্গ তুলেই খোঁচা দেন ওয়েনাড়ের কংগ্রেস সাংসদকে। তিনি বলেন, ‘‘চেহারা বদলানোর ইচ্ছে অনেকেরই হয়। হয়তো রাহুলেরও হয়েছে। তবে তিনি চেহারা বদলানোর সময় সর্দার বল্লভভাই পটেল এমনকি জওহরলাল নেহরুকে অনুকরণ করতে পারতেন। মহাত্মা গান্ধীর মতো চেহারা করার চেষ্টা করলেও ভাল হত। কিন্তু তাঁর মুখ দেখে তো সাদ্দাম হুসেনের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে!’’

অসমের প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা হিমন্ত গত সপ্তাহেও সাদ্দামের সঙ্গে রাহুলের তুলনা করেছিলেন। এ বার তাঁর বক্তব্যের পরেই সরব হয়েছে কংগ্রেস। এর আগেও দামোদর বিনায়ক সাভারকর বিতর্ক এবং ভারত জোড়ো যাত্রা প্রসঙ্গে রাহুল সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে হিমন্তের বিরুদ্ধে। বুধবার সেই প্রসঙ্গ তুলে অসম প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ভূপেন বরা বলেন, ‘‘হিমন্ত অনেক সময় এ ধরনের নিম্নরুচির মন্তব্য করেন। ওঁর কাছে আমাদের একটাই প্রশ্ন— প্রধানমন্ত্রী মোদী কাকে অনুকরণ করার উদ্দেশ্যে লম্বা দাড়ি রেখেছিলেন?’’

বিশ্বকাপ শুরুর আগে পিয়ার্স মর্গ্যানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কোচ এরিক টেন হ্যাগ সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করার পরেই ক্লাবের সঙ্গে পর্তুগিজ তারকার বিচ্ছেদ ছিল সময়ের অপেক্ষা। তবে গ্লেজ়ার পরিবারের ক্লাব বিক্রি করার ভাবনার ইঙ্গিত এর আগে পাওয়া যায়নি। সে দিক থেকে পর পর দু’দিন দু’টি ধাক্কা খেল ওল্ড ট্র্যাফোর্ডের ক্লাবটি।

আমেরিকার ব্যবসায়ী পরিবারের সঙ্গে ক্লাব কর্তাদের কিছু ব্যাপারে মতবিরোধ তৈরি হয়েছিল। সেই বিরোধ বিচ্ছেদ পর্যন্ত গড়াতে পারে, তা আঁচ করা যায়নি। বুধবার ক্লাবের তরফে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘বোর্ড পরিকল্পনাগত পরিবর্তনের কথা ভাবছে। তার মধ্যে রয়েছে ক্লাবে নতুন বিনিয়োগের ভাবনা। ক্লাব বিক্রি করা হতে পারে বা নতুন অর্থনৈতিক সমঝোতা হতে পারে।’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:

Share this article

CLOSE

Follow us on

Download the latest Anandabazar app

Websites

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy