২০২১ সাল খবরের ঘনঘটার বছর। যার শুরু হয়েছিল রাজ্যে বিধানসভা ভোটের লড়াই দিয়ে। শেষ হল ওমিক্রনের উদ্বেগ নিয়ে। গত একটা বছর আনন্দবাজার অনলাইন বিভিন্ন ধরনের খবর পাঠক-পাঠিকাদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করেছে। সে কাজে কখনও সাফল্য এসেছে। কখনও প্রার্থিত সাফল্য আসেনি।
কিন্তু তার মধ্যেও আনন্দবাজার অনলাইন এমন বেশ কিছু খবর পাঠক-পাঠিকাদের কাছে পৌঁছে দিয়েছে, যার দীর্ঘমেয়াদি অভিঘাত এবং প্রভাব রয়েছে। যা নিছক কোনও ঘটনা নয়। যা তাৎক্ষণিকতার ঊর্ধ্বে। যে খবর স্থান-কাল বা ভূগোলের দাসত্ব করে না।
আছেন, ওঁরা আছেন, ভিন্গ্রহী অস্তিত্ব উড়িয়ে দিতে পারল না পেন্টাগন
দেখা গেল, কাঁকুড়গাছি যা জানত, তা এতদিন বিলেত-আমেরিকাও জানত না। আমেরিকা বলতে পারেনি। ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির নিয়ন্ত্রক উন্নত দেশগুলি পেরেছে, এমন প্রমাণও নেই। অর্থাৎ, আছেন, ভিনগ্রহীরা আছেন। তাঁরা আছেন কি নেই, সে বিষয়ে নানারকম কাল্পনিক, আধা কাল্পনিক তথ্য নিয়ে চর্চা হয়েছে। লেখা হয়েছে প্রচুর বই। হয়েছে সিনেমাও।
‘সাথে’ না ‘সঙ্গে’, ব্যানার শহরে, বাঙালি বলছে, গরব-আশা-বাংলাভাষা
‘সঙ্গে’ বলুন ‘সাথে’ নয়। সাদার্ন অ্যাভিনিউয়ে এই মর্মে একটি ব্যানার নজর কেড়েছে কলকাতার অনেক নাগরিকের। কারা লাগিয়েছেন ওই ব্যানার? মঙ্গলবার দিনভর চক্কর কেটেও তা খুঁজে বার করা যায়নি। তবে বাঙালি মনীষা খানিক আশ্বস্ত হয়েছে— এ বার বাঙালির আশা আছে। এখনও সব কিছু ফুরিয়ে যায়নি। অন্য ভাষার আগ্রাসন এবং প্রভাব থেকে (যেখানে ‘জারি’ বা ‘চালু’র বদলে ‘লাগু’ ব্যবহৃত হচ্ছে অনায়াসে) এখনও বাংলা ভাষাকে রক্ষা করার অবকাশ রয়েছে।
সেই খবরগুলির মধ্য থেকে আনন্দবাজার অনলাইনের সম্পাদকীয় বিভাগের বিচারে শ্রেষ্ঠ পাঁচটি খবর বছরের শেষে আরও একবার উপস্থাপিত করা হল। এই অঙ্গীকার-সহ যে, পরের বছরগুলিতে আমরা আরও বেশি করে এই ধরনের খবরের প্রতি মনোনিবেশ করব। যে খবরের দীর্ঘমেয়াদি অভিঘাত এবং প্রভাব রয়েছে। যে খবর নিছক কোনও ঘটনা নয়। যে খবর তাৎক্ষণিকতার ঊর্ধ্বে। এবং যে খবর স্থান-কাল বা ভূগোলের দাসত্ব করে না। সেই খবরই হবে আমাদের ‘পাখির চোখ’।
শুরু হল মাধ্যমিক পরীক্ষা