রাজা রঘুবংশী হত্যাকাণ্ডে তাঁর স্ত্রী সোনম রঘুবংশীকেই এখনও পর্যন্ত মূল অভিযুক্ত হিসাবে মনে করছে পুলিশ। কিসের ভিত্তিতে তাঁকে মূল অভিযুক্ত মনে করা হচ্ছে তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন মেঘালয়ের পূর্ব খাসি হিলসের পুলিশ সুপার বিবেক সিয়েম। এক সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, কেন এই ঘটনায় রাজার স্ত্রী সোনমের উপরেই সন্দেহ বাড়িয়ে তুলেছিল।
দৈনিক ভাস্কর’কে এসপি সিয়েম বলেন, ‘‘রাজার দেহ ২ জুন উদ্ধার হয়। তাঁর দেহ উদ্ধারের পরই মনে হয়েছিল, এটি সাধারণ কোনও নিখোঁজের ঘটনা নয়। এই ঘটনার তদন্তের জন্য আমরা বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করি। আমাদের বেশ কয়েকটি দল আলাদা আলাদা ভাবে প্রমাণ সংগ্রহ করে। তার পর সেই টুকরো টুকরো তথ্য একত্রিত করার পরই বোঝা যায়, এই ঘটনার নেপথ্যে সোনমের হাত রয়েছে। আর সেই তথ্যের ভিত্তিতেই সোনমকে মূল অভিযুক্ত হিসাবে মনে করছি আমরা।’’
শাশুড়িকে ফোন করে উপবাসের কথা বলেছিলেন সোনম
একই সঙ্গে একটি ‘অসত্যভাষণ’ এবং দু’টি তথ্য সোনমের প্রতি এই ঘটনায় সন্দেহ বাড়িয়ে তুলেছে পুলিশের। পুলিশ সূত্রের খবর, প্রথম যে তথ্য সোনমের প্রতি সন্দেহ বাড়িয়েছে সেটি হল, শাশুড়িকে ফোন করে সোনম জানিয়েছিলেন তিনি উপবাস ভাঙেননি। কিন্তু ঘটনাচক্রে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, ২৩ মে দুপুর পৌনে ২টো নাগাদ শাশুড়ি উমা রঘুবংশীর ফোনে কথা হয়। তখন শাশুড়ি জিজ্ঞাসা করেছিলেন তাঁরা খাবার খেয়েছেন কি না। উত্তরে সোনম জানান, তিনি খাবার খাননি। তবে রাজা কিছু ফল খেয়েছেন। সেই সূত্র ধরেই শিপারার হোমস্টের মালিককে জেরা করে পুলিশ। তখন তিনি দাবি করেন, গত ২৩ মে হোমস্টেতে আসেন সোনম। তার পর খাবার অর্ডার দেন। খাওয়াদাওয়া করেন। কিন্তু ওই রাজার সঙ্গে বার হলেও একাই হোমস্টেতে ফিরে এসেছিলেন তিনি। আর এখান থেকেই পুলিশের সন্দেহ তৈরি হয়। কারণ শাশুড়িকে উপবাসের কথা বলেছিলেন সোনম, অথচ হোমস্টেতে ফিরে খাওয়াদাওয়া করেন। এই পরস্পরবিরুদ্ধ তথ্যই সন্দেহ আরও দৃঢ় করে বলে জানিয়েছে শিলং পুলিশ।