আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লার প্রায় ১২ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। ইডি-র অভিযোগ, জম্মু ও কাশ্মীরের ক্রিকেট সংস্থা (জেকেসিএ)-য় আর্থিক দুর্নীতিতে জড়িত ন্যাশনাল কনফারেন্সের সভাপতি তথা প্রাক্তন সাংসদ ফারুক। যদিও ইডি-র অভিযোগকে অস্বীকার করে ফারুকের দলের দাবি, এটি বিজেপি সরকারের প্রতিহিংসামূলক এবং বিভাজনের রাজনীতির উদাহরণমাত্র। ফারুকের ছেলে তথা জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্য়মন্ত্রী ওমর আবদুল্লা জানিয়েছেন, এ নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হবেন তিনি।
জেকেসিএ আর্থিক দুর্নীতি মামলায় ২০১৮-তে ফারুকের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করেছিল ইডি। ওই মামলায় ফারুক ছাড়াও আরও তিন জনের বিরুদ্ধে ২০০২-’১১ সালের মধ্যে ক্রিকেট সংস্থার ৪৩.৬৯ কোটি টাকা নয়ছয় করার অভিযোগ করা হয়েছে। ইডি-র দাবি, ২০০৬ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ফারুক জেকেসিএ থেকে ৪৫ কোটি টাকারও বেশি সরিয়ে ফেলেছেন।
ফারুকের বিরুদ্ধে ইডি-র এই পদক্ষেপকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা হিসেবেই দেখছে তাঁর দল। সম্প্রতি উপত্যকায় ১০টি বিরোধী দলের সঙ্গে জোট বেঁধে ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন ফারুক। জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা ফেরানোর দাবি তুলে একটি ঘোষণাপত্র প্রকাশ করে ওই জোট। ‘পিপলস অ্যালায়েন্স ফর গুপকর ডিক্লারেশন’ (পিএজিডি) বা গুপকর জোটের মাধ্যমে দাবিদাওয়া নিয়ে সরব হওয়াতেই বিজেপি সরকার এই প্রতিহিংসামূলক পদক্ষেপ করেছে বলে অভিযোগ করেছেন ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতারা। তাঁদের মতে, “বিজেপি-র আদর্শ এবং বিভাজনের রাজনীতির বিরোধিতা করলে এই মূল্যই চোকাতে হয়।”
প্রতিহিংসাবশতই যে তাঁর বাবার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, তার ইঙ্গিত দিয়েছেন ওমর আবদুল্লাও। আবদুল্লার টুইট, ‘বাজেয়াপ্ত করা সম্পত্তি আমাদের পৈতৃক। গত শতকের সাতের দশক থেকেই তার অধিকার রয়েছে। নতুন যে নির্মাণ হয়েছে, ত ২০০৩ সালে করা। এর কোনও যৌক্তিকতা নেই। কারণ যা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, তা তদন্তাধীন ‘অপরাধের’ নামমাত্র মূল্যও নয়’।