দীর্ঘ রক্তক্ষয়ী সংঘাতের পর প্রায় ছ’সপ্তাহ ধরে ইজ়রায়েল এবং হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চলছে। তবে প্রথম পর্বে ছ’সপ্তাহ মেয়াদের এই যুদ্ধবিরতি শেষ হতে চলেছে চলতি সপ্তাহেই। যুদ্ধবিরতি বজায় রাখতে দ্বিতীয় দফার আলোচনায় বসতে যুযুধান দু’পক্ষ রাজি হবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। দীর্ঘ রক্তক্ষয়ী সংঘাতের পর প্রায় ছ’সপ্তাহ ধরে ইজ়রায়েল এবং হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চলছে। তবে প্রথম পর্বে ছ’সপ্তাহ মেয়াদের এই যুদ্ধবিরতি শেষ হতে চলেছে চলতি সপ্তাহেই। যুদ্ধবিরতি বজায় রাখতে দ্বিতীয় দফার আলোচনায় বসতে যুযুধান দু’পক্ষ রাজি হবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল।
কারণ হামাসের বিরুদ্ধে গাজ়ায় বন্দি ইজ়রায়েলিদের সঙ্গে ‘নিষ্ঠুর আচরণ’ করার অভিযোগ তোলে নেতানিয়াহু সরকার। এর প্রতিবাদে গত শনিবার ৬০০ প্যালেস্টাইনিকে মুক্তি দেওয়ার বিষয়টি স্থগিত রাখে তারা। হামাস ইজ়রায়েলের বিরুদ্ধে তোপ দেগে জানায়, তারা যুদ্ধবিরতির শর্ত লঙ্ঘন করছে।
এই পরিস্থিতিতে মিশরের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি বজায় রাখতে নয়া শর্তপালনে সম্মত হয় দু’পক্ষ। মঙ্গলবার হামাসের তরফে আনুষ্ঠানিক ভাবে বিষয়টি স্বীকার করে নেওয়া হয়। ইজ়রায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলির প্রতিবেদন অনুসারে, বুধবারের মধ্যেই শর্ত পালন করবে দু’পক্ষ। প্রাথমিক ভাবে, চার ইজ়রায়েলি বন্দিকে ইজ়রায়েলের হাতে তুলে দেবে হামাস। তার বিনিময়ে ইজ়রায়েলের জেলে বন্দি সব প্যালেস্টাইনিকে ছেড়ে দেবে তেল আভিভ।
গত ১৯ জানুয়ারি থেকে গাজ়ায় যুদ্ধবিরতি চলছে। ২৫ জন বন্দির মুখ ঢেকে তাঁদের ইজ়রায়েলে ফিরিয়েছে হামাস। অন্য দিকে, ১১০০ জন প্যালেস্টাইনি বন্দিকে মুক্তি দিয়েছে ইজ়রায়েল। যুদ্ধবিরতি রক্ষা করার বিষয়ে দ্বিতীয় পর্বের আলোচনা অনেক আগে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও এখনও তা হয়নি। যুদ্ধবিরতির প্রথম ছ’সপ্তাহের মধ্যেই ৩৩ জন ইজ়রায়েলি বন্দি এবং আট বন্দির দেহ ইজ়রায়েলের হাতে তুলে দেওয়ার কথা ছিল হামাসের। ইজ়রায়েল প্রায় ২০০০ প্যালেস্টাইনিকে ছেড়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিল। নয়া বোঝাপড়ায় সেই শর্তগুলি পূরণ হয় কি না, তা-ই এখন দেখার।