
উত্তরবঙ্গের ট্রেন দুর্ঘটনায় জখম এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে মঙ্গলবার। এখনও পর্যন্ত ওই দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা ১০। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল এই দুর্ঘটনার প্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু করছে বুধবার। তবে তদন্ত শুরু হওয়ার আগেই রেলের তরফে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে মালগাড়ির চালকের ‘ভুলের’ দিকে। দুর্ঘটনার দিনই অর্থাৎ, সোমবার রেলের তরফে একাধিক কর্তা অভিযোগ করেছিলেন, মালগাড়ির চালক সিগন্যাল মানেননি। মঙ্গলবারও তার ব্যত্যয় হয়নি। রেলের প্রাক্তন কর্তাদের অনেকেই এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, কী ভাবে তদন্তের আগেই এমন মন্তব্য করা হচ্ছে? রেলকর্মীদের একাংশ দাবি করেছেন, যে ‘কাগুজে সিগন্যাল’ রাঙাপানি স্টেশনের স্টেশনমাস্টার দিয়েছিলেন মালগাড়ির চালককে, সেখানে গতিবেগ নিয়ন্ত্রণের কথা বলা ছিল না। ওই লাইনেই যে মালগাড়ির আগে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস রয়েছে, তা লিখিত ভাবে মালগাড়ির চালককে জানানোর কোনও নথিও এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি বলে ওই অংশের দাবি। প্রাক্তন এবং বর্তমান রেলকর্মীদের অনেকেই মনে করছেন, এই দুর্ঘটনার নেপথ্যে কোথাও একটা সমন্বয়গত ত্রুটি রয়ে গিয়েছে। যেখান থেকে রেলের পরিকাঠামো নিয়েই প্রশ্ন উঠছে এই দুর্ঘটনার পর থেকে।