E-Paper

পাকাপোক্ত চেহারায় জোট চাইছেন অধীর

বিধান ভবনে শুক্রবার প্রদেশ কংগ্রেসের ডজনখানেক নেতার সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন অধীরবাবু।

প্রয়াত প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি  সোমেন মিত্রের বাড়ি গিয়ে তাঁর স্ত্রী শিখা মিত্রের সঙ্গে দেখা করলেন বর্তমান সভাপতি অধীর চৌধুরী। নিজস্ব চিত্র।

প্রয়াত প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি  সোমেন মিত্রের বাড়ি গিয়ে তাঁর স্ত্রী শিখা মিত্রের সঙ্গে দেখা করলেন বর্তমান সভাপতি অধীর চৌধুরী। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ অক্টোবর ২০২০ ০৩:৫৮
Share
Save

প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি হওয়ার পরে প্রথম বার কলকাতায় বৈঠকে বসেই দলকে স্পষ্ট বার্তা দিলেন অধীর চৌধুরী। দিল্লিতেই গত এক মাস তাঁর ব্যস্ততা ছিল, সেই অবসরে নানা সংশয় দানা বাঁধছিল প্রদেশ কংগ্রেসের অন্দরে। দলের রাজ্য নেতাদের সঙ্গে প্রথম বার মুখোমুখি হয়ে সক্রিয় সভাপতি বার্তা দিলেন, বামেদের সঙ্গে এ বার জোট করতে হবে আরও আন্তরিক ও পাকাপোক্ত ভাবে। সেই সঙ্গেই বাড়াতে হবে কংগ্রেসের নিজস্ব দলীয় কর্মসূচি। অধীরবাবুর নেতৃত্বে আজ, শনিবার কলকাতায় মিছিলও করতে চলেছে প্রদেশ কংগ্রেস।

বিধান ভবনে শুক্রবার প্রদেশ কংগ্রেসের ডজনখানেক নেতার সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন অধীরবাবু। কংগ্রেস সূত্রের খবর, লোকসভা ভোটের মতো ‘একলা চলা’র পক্ষে সওয়াল এ বার কেউই করেননি। বরং, বামেদের সঙ্গে জোট বেঁধে রাজ্যে তৃণমূল ও বিজেপির বাইরে যে তৃতীয় বিকল্প গড়ে তুলতে হবে, সেই মতই প্রকাশ করেছেন সকলে। প্রদেশ সভাপতি হিসেবে বামেদের সঙ্গে ২০১৬ সালে আসন সমঝোতার অভিজ্ঞতা উল্লেখ করে এ বার আরও গুছিয়ে প্রস্তুতির কথা বলেছেন অধীরবাবু। বৈঠকের পরে বিধায়ক নেপাল মাহাতোকে নিয়ে প্রয়াত নেতা সোমেন মিত্রের বাড়ি গিয়ে তাঁর স্ত্রী শিখা মিত্রের সঙ্গে দেখা করেন তিনি।

পরে অধীরবাবু বলেন, ‘‘গত বিধানসভা ভোটে বামেদের সঙ্গে অর্ধসিদ্ধ, অগোছাল সমঝোতা হয়েছিল। নিচু তলা পর্যন্ত সেই সমঝোতাকে ঠিকমতো নিয়ে যাওয়া যায়নি। এ বার দু’পক্ষই অনেক আন্তরিক। এ বার আরও পাকাপোক্ত ভাবে জোট যাতে হয়, সেই কথাই দলে আলোচনা করেছি।’’ বামেদের তরফে বিমান বসুরা তাঁর সঙ্গে আলোচনা চাইলে তখন তেমন ব্যবস্থার কথা ভাবা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

আরও পড়ুন: সারদা-কাণ্ডে চূড়ান্ত চার্জশিট পেশের আগে মুকুলের সঙ্গে মুখোমুখি জেরার দাবি কুণালের

আব্দুল মান্নান, প্রদীপ ভট্টাচার্য, দেবপ্রসাদ রায়, শুভঙ্কর সরকার, অসিত মিত্র-সহ প্রদেশ কংগ্রেসের প্রায় সব নেতাই এ দিন বিধান ভবনে হাজির ছিলেন। শুধু মনোজ চক্রবর্তী, সন্তোষ পাঠক অসুস্থতার জন্য আসেননি, অমিতাভ চক্রবর্তী ডাক পাননি। বৈঠকে নেপালবাবু দাবি করেন, কংগ্রেস ৬০% এবং বাম ৪০% আসনে লড়বে— এই সমীকরণে জোট হওয়া উচিত এবং কংগ্রেসের হাতে ‘কর্তৃত্ব’ থাকা উচিত। যদিও পরিসংখ্যান বলছে, লোকসভায় পুরুলিয়া কেন্দ্র বামেদের ছাড়তে না চেয়ে নেপালবাবু জামানত খুইয়েছিলেন, নিজের বাঘমুণ্ডি বিধানসভা এলাকাতেও তৃতীয় হয়েছিলেন! নেপালবাবুদের কথায় জোটের বিরোধিতা করে তিনি সে বার ‘ভুল’ করেছিলেন বলে এ দিন বৈঠকে মেনে নিয়েছেন মান্নান।

আরও পড়ুন: উপাচার্যের বিরুদ্ধে ‘পত্রবোমা’ সহ-উপাচার্যের

বৈঠকে অধীরবাবুর পরামর্শ, দলের ‘সম্মান’ বাঁচিয়ে যা করার, করতে হবে। দলীয় কর্মসূচি নিয়ে দৃশ্যমানতা বাড়াতে হবে। বামেদের সঙ্গে যৌথ কর্মসূচির পরিকল্পনা ও আয়োজন যেন একসঙ্গেই হয়, একতরফা নয়, তা খেয়াল রাখার কথাও বলেছেন তিনি।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Congress Adhir Chowdhury

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

এটি একটি প্রিন্ট আর্টিক্‌ল…

  • এমন অনেক খবরই এখন আপনার হাতের মুঠোয়

  • সঙ্গে রোজ পান আনন্দবাজার পত্রিকার নতুন ই-পেপার পড়ার সুযোগ

  • ই-পেপারের খবর এখন শুধুই ছবিতে নয়, টেক্সটেও

প্ল্যান সিলেক্ট করুন

মেয়াদ শেষে আপনার সাবস্ক্রিপশন আপনাআপনি রিনিউ হয়ে যাবে

মেয়াদ শেষে নতুন দামে আপনাকে নতুন করে গ্রাহক হতে হবে

SAVE 29%*
এক বছরে

১১৯৯

১১৯৯

এক বছর পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।
*মান্থলি প্ল্যান সাপেক্ষে
এক মাসে

১৪৯

১২৯

এক মাস পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।