E-Paper

আরও বাড়বে! তাতে কী-ই বা এসে যাবে

 প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, “এত কিছু জানার পরেও অনেকে মাস্ক ব্যবহার করছেন না। এতে তো তাঁরা নিজেদেরই ঝুঁকি বাড়াচ্ছেন।”

উদাসীন: মাস্ক খুলে নির্ভয়ে বাজার। রবিবার কোচবিহারে। নিজস্ব চিত্র।

উদাসীন: মাস্ক খুলে নির্ভয়ে বাজার। রবিবার কোচবিহারে। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ অক্টোবর ২০২০ ০৪:১৮
Share
Save

সামাজিক দূরত্ব তো এখন ‘নাম কা ওয়াস্তে’।

মাস্ক না পড়েই বাজারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন অনেকে। ভিড়ের মধ্যে ঠাসাঠাসি করে ঢুকেও পড়েছেন সেই অবস্থায়। কেউ বিরক্তির চোখে তাকালে হাত দিয়ে নাক ঢাকছেন। পুজোয় ভিড়ের আশঙ্কায় নানা বিধিনিষেধের কথা বলতে শুরু করেছে পুলিশ-প্রশাসন। কিন্তু তার আগে পুজোর বাজারের এই ভিড় নিয়ন্ত্রণেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া উচিত বলে মনে করছেন সচেতন লোকজন। কারণ স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদেরই ধারণা, অক্টোবর ও নভেম্বরে আক্রান্তের সংখ্যা হু-হু করে বাড়বে। এর পরেও কেউ কেন সতর্ক হচ্ছেন না, তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। কোচবিহার সদর মহকুমাশাসক সঞ্জয় পাল রবিবার ব্যবসায়ী ও স্বেচ্ছাসেবীর সংস্থার সদস্যদের নিয়ে বৈঠক করেন। সেখানে ওই বিষয়ে সতর্ক করা হয়। সেই সঙ্গেই এদিন মাস্কবিহীন কাউকে দেখলেই কোভিড পরীক্ষাও করানো হয়।

সদর মহকুমাশাসক বলেন, “পুজোর পাশাপাশি বাজারেও যাতে ভিড় নিয়ন্ত্রণেও নজরদারি রয়েছে। সবাই যাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচল করেন, সে-বিষয়ে সতর্ক করা হচ্ছে।” জেলা ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকেও বাজারে মাইকিং করে ক্রেতা-বিক্রেতা সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আবেদন করা হবে। সমিতির চাঁদমোহন সাহা বলেন, “আমরা সবসময়ই ওই প্রচার করছি। এ বার দিনদুয়েকের মধ্যেই বাজার জুড়ে ফের প্রচার করা হবে। নিজেদের সতর্ক হতে হবে। সেটা ভেবেই মাইকিং করা হবে।” বাজারে নজরদারি চালাবে পুলিশও।

কিছুদিন আগেও মাস্ক ছাড়া চলাচল করলে কড়া পদক্ষেপ করতে শুরু করেছিল পুলিশ। অনেকেকে গ্রেফতারও করা হয় সেই সঙ্গে সামাজিক দূরত্ব না মানা হলেও সতর্ক করা হচ্ছিল। অভিযোগ, আনলক পর্ব শুরু হওয়ার পর থেকে সেই কাজে ঢিলেমি শুরু হয়। সেই সুযোগে বেপরোয়া মনোভাব দেখা দেয় বাসিন্দাদের একটি অংশে। এ দিনও ভবানীগঞ্জ বাজারে সে-ই চিত্রই দেখা গেল। এ দিন রবিবার থাকার জন্য পুজোর বাজার করতে অনেকেই ভিড় করেন। ভবানীগঞ্জ বাজারের প্রধান সড়কে ভিড় ছিল অনেকটাই। ওই ভিড়ের একটি বড় অংশের মানুষের মুখে মাস্ক ছিল। অনেকের মুখেই ছিল না। এক ক্রেতা তপন রায় ভবানীগঞ্জ বাজারের প্রধান রাস্তায় হেঁটে যাচ্ছিলেন। তাঁর সঙ্গে পরিবারও ছিল। কেন মাস্ক পরেননি? বললেন, “ও কিছু হবে না।” একটি প্রসাধনীর দোকান থেকে বেরিয়ে আসা এক মহিলা বলেন, “মাস্ক ব্যাগে রেখেছি। পরে নেব।”

প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, “এত কিছু জানার পরেও অনেকে মাস্ক ব্যবহার করছেন না। এতে তো তাঁরা নিজেদেরই ঝুঁকি বাড়াচ্ছেন।”

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Durga Puja 2020 Shopping

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

এটি একটি প্রিন্ট আর্টিক্‌ল…

  • এমন অনেক খবরই এখন আপনার হাতের মুঠোয়

  • সঙ্গে রোজ পান আনন্দবাজার পত্রিকার নতুন ই-পেপার পড়ার সুযোগ

  • ই-পেপারের খবর এখন শুধুই ছবিতে নয়, টেক্সটেও

প্ল্যান সিলেক্ট করুন

মেয়াদ শেষে আপনার সাবস্ক্রিপশন আপনাআপনি রিনিউ হয়ে যাবে

মেয়াদ শেষে নতুন দামে আপনাকে নতুন করে গ্রাহক হতে হবে

SAVE 29%*
এক বছরে

১১৯৯

১১৯৯

এক বছর পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।
*মান্থলি প্ল্যান সাপেক্ষে
এক মাসে

১৪৯

১২৯

এক মাস পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।