আমাদের স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে নানা স্মরণ হচ্ছে। আমাদের দেশভাগেরও এটা ৭৫ বছর। সে বিষয়েও স্মৃতি জাগরূক রাখতে হবে। দেশভাগের যন্ত্রণা আমাদের অসংখ্য পথে প্রভাবিত করেছে, সে কথা ভোলার নয়। বিশেষত, মনের ভিতর যে-সব জায়গায় আমরা ভেঙে দুমড়ে-মুচড়ে গিয়েছি, সে সব অনালোচিত দিক্ সম্পর্কে সচেতন হলে তবেই তো আবার সোজা হতে পারা যাবে। post
১. আমাদের স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে নানা স্মরণ হচ্ছে। আমাদের দেশভাগেরও এটা ৭৫ বছর। সে বিষয়েও স্মৃতি জাগরূক রাখতে হবে। দেশভাগের যন্ত্রণা আমাদের অসংখ্য পথে প্রভাবিত করেছে, সে কথা ভোলার নয়। বিশেষত, মনের ভিতর যে-সব জায়গায় আমরা ভেঙে দুমড়ে-মুচড়ে গিয়েছি, সে সব অনালোচিত দিক্ সম্পর্কে সচেতন হলে তবেই তো আবার সোজা হতে পারা যাবে।
২. সর্বস্বচ্যুত উদ্বাস্তুর জমি জবরদখল, জমিদারের জমিতে, সরকারের এস্টেটে, নদীর তীরে, ক্যানালের ধারে, রাস্তার পাশে ও ফুটপাথের উপর, নির্ধনের কলোনি স্থাপন প্রভৃতি বৈপ্লবিক কাজ ধীরে ধীরে নেহাতই এলাকায় উপনিবেশ পত্তনে পরিণত হয়।
৩. দেশভাগের যন্ত্রণা আমাদের অসংখ্য পথে প্রভাবিত করেছে, সে কথা ভোলার নয়।
আত্মার মৃত্যু কি জন্ম দেয় তুমুল ঘৃণার?

কলকাতায় ঝটিকা সফরে পঙ্কজ ত্রিপাঠী।
- দেশভাগ নিয়ে আলোচনা বাংলায় প্রথম দিকে একটু কমই ছিল। অনেকেই মনে করেছিলেন, এটা সাময়িক একটা ব্যবস্থা মাত্র, অচিরেই সব মিটে যাবে।
- প্রথম দিকে পাসপোর্ট-ভিসার বন্দোবস্ত ছিল না। সীমানা পেরিয়ে অনায়াসে এদিক-ওদিক করা যেত। ওদিক থেকে শিয়ালদহ পর্যন্ত যে ট্রেন আসত-যেত, তা ১৯৬৫ সালের ভারত-পাক যুদ্ধ পর্যন্ত কার্যত সচল ছিল।
- পূর্ববঙ্গ-পূর্ব পাকিস্তানের বহু হিন্দু ভদ্রলোক কিছু আত্মীয়স্বজনকে কলকাতায় পাঠিয়ে দিলেও বেশ কিছু বছর নিজেরা ভিটেছাড়া হতে চাননি।
- বা বৃদ্ধ মা-বাবাকে ঠাঁইনাড়া করেননি। বা সম্পত্তি বিক্রিবাটা করেননি— এমন অজস্র কাহিনি আছে। দেশভাগ নিয়ে আলোচনা বাংলায় প্রথম দিকে একটু কমই ছিল।
- অনেকেই মনে করেছিলেন, এটা সাময়িক একটা ব্যবস্থা মাত্র, অচিরেই সব মিটে যাবে।প্রথম দিকে পাসপোর্ট-ভিসার বন্দোবস্ত ছিল না। সীমানা পেরিয়ে অনায়াসে এদিক-ওদিক করা যেত।
- ওদিক থেকে শিয়ালদহ পর্যন্ত যে ট্রেন আসত-যেত, তা ১৯৬৫ সালের ভারত-পাক যুদ্ধ পর্যন্ত কার্যত সচল ছিল।পূর্ববঙ্গ-পূর্ব পাকিস্তানের বহু হিন্দু ভদ্রলোক কিছু আত্মীয়স্বজনকে কলকাতায় পাঠিয়ে দিলেও বেশ কিছু বছর নিজেরা ভিটেছাড়া হতে চাননি।
- বা বৃদ্ধ মা-বাবাকে ঠাঁইনাড়া করেননি। বা সম্পত্তি বিক্রিবাটা করেননি— এমন অজস্র কাহিনি আছে।
আরও পড়ুন:
দেশভাগ নিয়ে আলোচনা বাংলায় প্রথম দিকে একটু কমই ছিল। অনেকেই মনে করেছিলেন, এটা সাময়িক একটা ব্যবস্থা মাত্র, অচিরেই সব মিটে যাবে।প্রথম দিকে পাসপোর্ট-ভিসার বন্দোবস্ত ছিল না। সীমানা পেরিয়ে অনায়াসে এদিক-ওদিক করা যেত। ওদিক থেকে শিয়ালদহ পর্যন্ত যে ট্রেন আসত-যেত, তা ১৯৬৫ সালের ভারত-পাক যুদ্ধ পর্যন্ত কার্যত সচল ছিল। পূর্ববঙ্গ-পূর্ব পাকিস্তানের বহু হিন্দু ভদ্রলোক কিছু আত্মীয়স্বজনকে কলকাতায় পাঠিয়ে দিলেও বেশ কিছু বছর নিজেরা ভিটেছাড়া হতে চাননি। বা বৃদ্ধ মা-বাবাকে ঠাঁইনাড়া করেননি। বা সম্পত্তি বিক্রিবাটা করেননি— এমন অজস্র কাহিনি আছে।দেশভাগ নিয়ে আলোচনা বাংলায় প্রথম দিকে একটু কমই ছিল। অনেকেই মনে করেছিলেন, এটা সাময়িক একটা ব্যবস্থা মাত্র, অচিরেই সব মিটে যাবে।প্রথম দিকে পাসপোর্ট-ভিসার বন্দোবস্ত ছিল না। সীমানা পেরিয়ে অনায়াসে এদিক-ওদিক করা যেত। ওদিক থেকে শিয়ালদহ পর্যন্ত যে ট্রেন আসত-যেত, তা ১৯৬৫ সালের ভারত-পাক যুদ্ধ পর্যন্ত কার্যত সচল ছিল। পূর্ববঙ্গ-পূর্ব পাকিস্তানের বহু হিন্দু ভদ্রলোক কিছু আত্মীয়স্বজনকে কলকাতায় পাঠিয়ে দিলেও বেশ কিছু বছর নিজেরা ভিটেছাড়া হতে চাননি। বা বৃদ্ধ মা-বাবাকে ঠাঁইনাড়া করেননি। বা সম্পত্তি বিক্রিবাটা করেননি— এমন অজস্র কাহিনি আছে।