মঙ্গলবার ভাঙড়-২ ব্লকের কাঁঠালিয়ার গণনাকেন্দ্রে চলছিল জেলা পরিষদের ভোটগণনা। আইএসএফ নেত্রী রেশমা খাতুনের অভিযোগ, আইএসএফের জেলা পরিষদের প্রার্থী জাহানারা খাতুন প্রথমে পাঁচ হাজার ভোটে এগিয়ে ছিলেন। কিন্তু রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ বিডিও জানান, জাহানারা ৩৬০ ভোটে হেরে গিয়েছেন। আইএসএফ নেতৃত্বের দাবি, প্রশাসনের সঙ্গে ‘সেটিং’ করেছে তৃণমূল। তার পরই ভোটের এই ফল ঘোষণা হয়েছে। তাঁরা পুনর্নির্বাচনের দাবি তোলেন। যদিও তৃণমূল এই অভিযোগ উড়িয়ে দেয়। মুহূর্তের মধ্যে এলাকায় উত্তেজনা শুরু হয়। পুলিশের অভিযোগ, একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের কর্মীসমর্থকেরা তাদের উপর আক্রমণ শুরু করে। এলাকায় একের পর এক বিস্ফোরণ হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রবার বুলেট ছোড়ে পুলিশ। কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটানো হয়। কিন্তু অবস্থা বদলায়নি। আইএসএফের পাল্টা অভিযোগ, পুলিশ গুলি চালিয়েছে। তাতে তাঁদের বেশ কয়েক জন কর্মী আহত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে হাসান আলি নামে বছর ছাব্বিশের এক কর্মীর। কলাডাঙার বাসিন্দা হাসানকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল কলকাতার আরজি কর হাসপাতালে। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার রাত ১২টা ১০ মিনিট নাগাদ হাসানকে কয়েক জন অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি আক্রমণ করেন। তাতেই প্রাণ হারিয়েছেন ওই যুবক। অন্য দিকে, পুলিশের এক পদস্থ কর্তার হাতে গুলি লেগেছে। এক পুলিশ কর্মীও গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।